ভাঙ্গা প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের ভাঙ্গা আব্দুল্লাহবাদ হাইস্কুলের এক শিক্ষিকার একটি মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বার বার হয়রানি শিকার হচ্ছেন আব্দুল্লাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ওবাইদুর রহমান। গত দুই জুলাই পঞ্চম শ্রেণীর শ্রেণি কক্ষে পাঠদান কালে রাইসা ইসলাম বুশরা নামের এক ছাত্রী সে কয়েকজন ছাত্রীর সাথে কথা বলছিল। ক্লাসের পরিবেশটা নষ্ট হওয়ায় শিক্ষক ওবায়দুর রহমান রাইসাকে কথা বলতে নিষেধ করেন। এ ঘটনার সূত্র ধরে রাইসার মা আব্দুল্লাবাদ হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা স্বর্ণা ম্যাডাম তিনি ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কয়েকদিন পর ঐ ছাত্রীর বাবা রফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ভুক্তভোগী শিক্ষক ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় আরেকটি অভিযোগ দেন। বারবার অভিযোগ দেওয়ায় একজন শিক্ষককে হয়রানি ছাড়া আর কিছু নাই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী বলেন, একজন ক্লাসের শিক্ষক তার ছাত্রীকে ক্লাসে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। এই ঘটনাকে পুঁজি করে ছাত্রীর বাবা-মা শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছেন। তাহা সঠিক হয় নাই বলে মনে করছেন । তারপর ২দিন ওই ছাত্রীর ফুড পয়জনে অসুস্থ হওয়ায় অজুহাত দেখিয়ে ঐ শিক্ষকের ১৫ হাজার টাকা ঔষধ খরচ দিতে বলে কয়েকজন মাদবর । এঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সকালের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানান।
এসব কারনে অভিযোগ দিয়ে সহকারী শিক্ষক ওবায়দুর রহমানের উপর দোষ চাপিয়ে হয়রানী করা ছাড়া আর কিছু নয়। সে ইস্কুলের ভালো একজন শিক্ষক এবং ভাল পাঠদান করেন।
সে দুর থেকে আসেন বিধায় ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অহেতুক দোষ চাপাচ্ছে। এতে শিক্ষার কার্যক্রম ভেঙে পড়বে বলে আমরা স্থানীরা মনে করছি।
এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহবাদ হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক স্বর্ণ ম্যাডামের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এবিষয় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকাী শিক্ষক ওবায়দুর রহমান বলেন, পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস খোলা কালে রাইসা ইসলাম বুশরা নামাজের ছাত্রী অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে কথা বলতেছিল। এ সময় শিক্ষার পরিবেশটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই জন্য আমি আমার হাতে ৩ পৃষ্ঠার একটি খাতা ছোয়া দিয়ে বলি বুসরা তুমি কথা বলিও না।
এই ঘটনা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বুশরার মা স্বর্না ম্যাডাম টিও সাহেবের নিকট অভিযোগ দেয়। এরপর বুশরার বাবা ভাঙ্গা থানায় আরেকটি অভিযোগ দেয়। বুশরার মা ও বাবা আমাকে বারবার মিথ্যা অজুহাত দিয়ে হয়রানি করছে। ঘটনার ২দিন পর বুশরা ফুড পয়জনে অসুস্থ হয় হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেই জন্য আমার নামে মারধরের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ঔষধ কেনার জন্য ১৫০০০ টাকা দাবি করে । এটা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অবিচার। আমি সাংবাদিকদের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার এস,আই মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, স্কুলের একটি ঘটনার নিয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আব্দুল্লাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার বিষয় আমার কাছে মনে হচ্ছে অভিযোগটি ভিত্তিহীন।
২৩/৮/২৫