আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের ভাঙ্গার পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড ও বাজার দখলকে কেন্দ্র করে আ-লীগের দুই গ্রপের সংঘর্ষের মামলায় আসামি করা হয় উপজেলা ছাএদলের যুগ্ম আহবায়ক সজল তালুকদারকে। মিথ্যা মামলায় সজল তালুকদারকে আসামি করায় ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি সহ ছাত্রদল নেতা কর্মীরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এর আগে সাবেক এমপি কাজী জাফরুল্লাহ গ্রুপের করিম মাতুব্বর ও নিক্সন চৌধুরি গ্রপের ইয়াকুব আলী মিয়া, আবুল কালাম মোল্লা ও হারুন মোল্লা দলের শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।
উক্ত মামলার নিক্সন চৌধুরী দলের হারুন মোল্লা বাদি হয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা সজল তালুকদারকে আসামি করা হলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক সজল তালুকদার বলেন, আমি বৈষম্য বিরোধী ছাএ আন্দোলনের একজন আহত যোদ্ধা। আমি গ্রাম্য পলিটিক্স ও দলাদলি থেকে দূরে থাকতে এলাকা ছেড়ে পরিবার নিয়ে ভাঙ্গা শহরে বসবাস করি। ঘটনার দিন যেখানে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে আমি ছিলামি না। আমি ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এর সাথে পুকুরে বাসস্ট্যান্ডে ছিলাম। কোন পক্ষে পড়ে নয় গ্রামের মারামারি থামাতে যতটুক সম্ভব আমি প্রশাসনের সহ ওসি সাহেবের সাথে থেকে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। সংঘর্ষ চলাকালে আমার মামলার বাদী হারুন মোল্লাকে যৌথ বাহিনীর হাতে তখন গ্রেফতার হয়। সে গ্রেফতার হওয়ার কারনে ও আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এবং সম্মানহানি করতে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামি করা হয়। মামলার বাদী নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক হারুন মোল্লা ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া বাসষ্টান্ড, হাট বাজারে চাঁদাবাজি সহ ওটো, মাহিন্দ্র, বাস কাউন্টার সব কিছুই এই হারুন মোল্লা নিয়ন্ত্রনে চলে এবং মাসে লাখ লাখ টাকা আদায় করে।
এছাড়া আমি বিগত ১৬ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। গ্রামের দুইটি পক্ষ থেকেই আমি সব সময় দুরস্ত বজায় রাখি।
তাই আমি প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করি, যাহাতে আমার নামে মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হউক। তবে যাহারা হামলা, ভাংচুরের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওয়াতায় আনার দাবি জানাই।
তিনি আরো জানান, ভাঙ্গা ওসি স্যারের ফোন পেয়ে আমি ওইদিন সকাল ৬ টার দিকে পুখুরিয়া যাই। ওসি সাহেব পুরা এলাকা টহল দিয়ে ২ পক্ষকে শান্ত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। পরে আমি জররী কাজে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে একটা জরুরি কাজে চলে আসি। এলাকায় আমার বংশের লোকজনের সাথে আমাকে জড়িয়ে আসামী করা হয়। আমি গ্রামের একটি পক্ষে পড়ায় উক্ত ঘটনায় আমাকে হয়রানি এবং রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য আসামি করা হয়। তাই আমি অবিলম্বে মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।